Saturday, 29 April 2017

India Few Facts and Figures


ভারতের বিশালত্ব এসেছে শুধু আয়তন থেকে নয়, বৈচিত্র্য থেকেও। আর এই বৈচিত্র্য বোঝার জন্য সারা ভারত ঘুরতেই পারো, তবে তাতেও সব টা বোঝা যাবে না। ভারতের বৈচিত্র্য বোঝার সব থেকে ভালো রাস্তা বোধ হয়, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল এটলাস। একজন ভারতীয় এর কাছে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল এটলাস দেশ কে বোঝার সব থেকে বড়ো জানলা। অন্য দিকে সত্যি ই স্ট্যাটিসটিক্স এটলাস পড়া একটা বিরক্তিকর, সময় সাপেক্ষ্য জিনিস। আশা করবো আগামী দিন গুলোতে আমাদের স্ট্যাটিসটিকাল ডিপার্টমেন্ট ছবির মতো স্ট্যাটিসটিক্স দেবে।



২ হাজার চাকরির আবেদন করেছিল শঙ্কর এর জন অরণ্যর সোমনাথ। আজকেও দেখি ৬,০০,০০০+ এপ্লিকেশন জমা পরে শুধু ২০০ টা চাকরির জন্য।
http://gulfnews.com/news/asia/india/more-than-600-000-vie-for-200-government-jobs-in-kerala-1.1916231

তাই আমার এই স্ট্যাটিসটিকাল এটলাস এর পাতা খুলতেই প্রথমে মনে হলো দেখি লেবার স্ট্যাটিসটিক্স এর টেবিল। পড়তে পড়তে আরো অনেক গ্রাফ, টেবিল দেখতে দেখতে চোখের সামনে আস্তে আসতে একগুচ্ছ ঝাপসা ছবি ভেসে উঠতে লাগলো। মনে পরে ১৯৮০ এর দুপুর এর দিন গুলো মনে পরে। সত্যি ১৯৮০ থেকে এই ২০১৬, ৩৬ বছরের এই রাস্তা টা কেমন ছিল ? এটলাস কি কিছু ইঙ্গিত দিতে পারবে ? আমরা তো সবই জানি, মনমোহন সিংহ, বাজপেয়ী, IT boom, আমাদের তো দেখা, নতুন কি জানতে পারবো যদি আমরা এই খুব বরক্তিকর এটলাস এর দিকে তাকিয়ে থাকি।

আচ্ছা এই কাজ টাই তো আমি করে দিচ্ছি, খেটে খুটে ছবি গ্রাফ লাগিয়ে একটা গল্প বলার চেষ্টা করছি - দেখুন মেলে কি না।  না মিললে বাঙ্গালীর মতো সমালোচনা করা র অধিকার তো থাকলোই।
লোককের
কিছু কিছু ছবি সত্যি সত্যি ভাবায়। যেমন এই তলার গ্রাফ টা। আমরা যারা ১৯৯১ এর পরে চাকরি তে ঢুকেছি তাদের একটা ধারণা আছে যে আমাদের ওই দশক এর আগে চাকরি বলতে কিছু ছিল না। নিচের ছবি তা বলে না, সেটাই মুশকিল।


http://www.mospi.gov.in/sites/default/files/reports_and_publication/cso_research_and_publication_unit/COSIOIESIOTSDVOL-2/Labour%20and%20%20Employment-graphs.pdf

বেশ কিছু চমকে দেবার মতো স্ট্যাটিসটিক্স আছে এই রিপোর্ট এ।  তার কিছু কিছু তুলে ধরি :
  • ১৯৬১ সালে সরকারি চাকরি ছিল ৭০ লাখের কাছে, সেটা ২০০৭ সালে বেড়ে দাড়ায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ। একই সময় বেসরকারি চাকরি ৫০ লাখের থেকে বেড়ে ৯২ লক্ষ হয়। 
  • বহু সেক্টর এ চাকরি তেমন কিছু বাড়ে নি। কন্ট্রাশন, আর খুচরো ব্যবস্যা তে আসলে চাকরি কমে গেছে এই সময় এ। 
  • ১৯৯১ এর পর থেকে তো চাকরি প্রায় কিছুই বাড়ে নি।  
প্রশ্ন হলো এই সময় এ তো জনসংখ্যা বেড়েছে, তাহলে সেটা চাকরি না বাড়লে তো প্রবল ভাবে বেকারি বেড়ে যাবে।  আমাদের অভিজ্ঞতা তো তেমন দেখাচ্ছে না।  তাহলে কোন আলাদিনের প্রদীপ এই বেকারির ঝড় সামলাচ্ছে ?

আর একটা চার্ট দেখা যাক ! এটা হলো ভারত এর বেকারের স্ট্যাটিস্টিক্স , প্রতি ১০০০ জনের এর হিসাবে। 

আমি এটার একটা ছোট গ্রাফ করেছি।  সব দেশের সরকারের কাছে বেকারির সংখ্যা বাড়া একটা লজ্জার বিষয়।  তাই ভারতের মতো দেশ এ এই সংখ্যা টা নিয়ে অনেক লুকোছুপি চলবে সেটাই প্রত্যাশিত। ১৯৮৭-৮৮ সালের সংখ্যা তে দেখছি গ্রামে আর শহরে দুটো জায়গাতেই চাকরির হাহা কার। সেই সময় ও শহরের বেকারির সংখ্যা ৬% এর বেশি হয় নি।  ভারতের বেকারির সংখ্যা ৫-৬ % এটা আমাদের সাধারণ অভিজ্ঞত্যার সাথে মেলে না।

http://www.mospi.gov.in/sites/default/files/reports_and_publication/cso_research_and_publication_unit/COSIOIESIOTSDVOL-2/Labour%20and%20Employment-HL.pdf

তাও বলতেই হবে ১৯৯১ এর পর থেকে শহুরে বেকার এর সংখ্যা কমতে থাকছে। এই চার্ট এর বাইরেও সরকারী যা ব্যাখ্যা রয়েছে সেই গুলোও বেশ আলোকপাত করে:
  • প্রতি ১০০০ জনের ভিতরে ৩৫০ জনের মতোর কর্ম সংস্থান আছে।  

  • প্রতি ৪ জন পুরুষের তুলনাতে একজন মহিলা চাকরি করছেন। 


  • প্রতি ১০০০ জন কর্মীর ভিতর ৪৪০ জন হলেন সেলফ এমপ্লয়েড।  সেটা প্রায় ৪৪% . উন্নত দেশ এ এই সংখ্যা টা ২০% এর নিচেই থাকে।  কানাডা তে ৮%, সিঙ্গাপুর এ ১৫%, আমেরিকা তে ৭%. ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক এর হিসাবে তো ভারত এ সেলফ এমপ্লয়েড হলো ৮১%!!  
http://databank.worldbank.org/data/reports.aspx?source=2&type=metadata&series=SL.EMP.SELF.ZS

সত্যজিৎ এর জনঅরণ্য এর সোমনাথ কে উৎপল দত্ত এর বলা সংলাপ মনে পরে যাচ্ছে। দেশ এর বিপুল মানুষ সেলফ এমপ্লয়েড। যারা বলি এই দেশ এর মানুষ কর্ম বিমুখ তখন এই ছবি টা সত্যি মনে থাকে না।
  • এমনকি সরকারি স্ট্যাটিসটিক্স এর পরিষ্কার গ্রাম এ কাজ বাড়ছে না। কেন বাড়ছে না তার অনেক কারণ হতে পারে।  কিন্ত্যু শেষ কথা হলো কাজ বাড়ছে না।  


এই বিশাল সংখ্যা র লোক গ্রাম থেকে শহরে আসছে। দেশ এর গ্রামে থাকা লোকের শতকরা হার ক্রমাগত কমছে (তার একটা কারণ এটাও বটে যে অনেক গ্রাম আধা শহরে পরিণত হয়েছে). গ্রাম থেকে শহর এ আসার পরেও শহরে বেকারির সংখ্যা কমছে সেটাই পরিষ্কার বোঝাচ্ছে যে অন্ততঃ শহরে কিছু কাজ বেড়েছে শেষ ২০-২৫ বছরে। 

এটা তো বলবেনই যে এই সব কিছু-ই জানা। তা মশাই, আপনি কি জানেন তা তো জানি না - তাই হয়তো একটা দুটো জিনিস আপনি ২ বার শুনবেন। ক্ষমা চেয়ে নিলাম। 

রয়েছে সামলালো কি করে 














Monday, 2 January 2017

Lost Books

এই লেখা টা হারিয়ে যাওয়া কিছু বই নিয়ে লেখা। প্রথমে শুরু করি ১৯৪৩ এর একটা বই নিয়ে, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর লেখা ১৯৪৩ এর দুর্ভিক্ষ এর লেখা এই বইটার নাম "পঞ্চাশের মন্বন্তর" । পরে ইচ্ছা আছে আরো কিছু বইয়ের আলোচনা করা আর পুরোনো কিছু লেখা ও এই লেখা টার সাথে যুক্ত করার ।

১৯৪২ এ বাংলার পরিস্থিতি খুবই জটিল। ২য় বিশ্বযুদ্ধ তখন বাংলার ঘরের কাছে চলে এসেছে। সিঙ্গাপুর, বার্মার পতনের পরে ইংরেজ দের নিজেদের ওপরে আস্থা চলে যাচ্ছিলো। একটা ভয় দানা বেঁধে উঠছিলো যে জাপানি রা বাংলা দিয়ে ভারত এর মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে। সেই জাপানি আক্রমণ  কে ঠেকানোর জন্য চেষ্টা শুরু হলো নানা ভাবে।  সৈন্যদের জন্য খাবার মজুত করা থেকে শুরু করে গ্রাম বাংলা তে খাবার এর সাপ্লাই কম করা। সেই পটভূমিকাতে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেলো। 


সেই ক্ষয় এর একটা সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরার জন্য শ্যামাপ্রসাদ এর এই বইটার জুড়ি নেই। বাংলাতে দুর্ভিক্ষ নিয়ে লেখা বই আরো (বলতেই হবে আরো অনেক লেখার সুযোগ ছিল) রয়েছে। অমর্ত্য সেন ইত্যাদির ১৯৪৩ এর দুর্ভিক্ষ এর লেখা অনেক প্রবন্ধ আছে।  আমার প্রিয় বইটি জনম মুখার্জী এর লেখা "হাঙরি বেঙ্গল " । 


https://deepblue.lib.umich.edu/bitstream/handle/2027.42/86383/jsmuk_1.pdf
শ্যামাপ্রসাদ এর বই এ যাবার আগে বলে নি জনম মুখার্জী কিন্তু শ্যামাপ্রসাদ এর সম্পর্কে মধুর কিছু বলেন নি। তবে লেখিকা শ্যামাপ্রসাদ  এর বইটি পড়েন নি। পড়লে অন্তত শ্যামাপ্রসাদ এর বক্তব্য জানতে পারতেন কিছু কিছু মুহূর্ত বা ঘটনা গুলো নিয়ে যেখানে উনি শ্যামাপ্রসাদ এর সমালোচনা করলেন।

তবে শ্যামাপ্রসাদ এর এই বইটা সম্পূর্ণ ভাবেই আলাদা। অন্য দেড় মতো এটা নিছক ফিরে দেখা নয়। ১৯৪৩ এ বসেই দুর্ভিক্ষ নিয়ে লেখা। তাই এটা নিছক ইতিহাস নয়। লেখার স্টাইল এর ভিতর কবিত্ব করার চেষ্টা নেই, তা হলেও লেখক এর সাবলীল ভাষা এই ছোট্ট  ১০০+ পাতার বই টিকে সুপাঠ্য করেছে। বইয়ের মাঝের দিকে এসে লেখক ওনার জেলা জেলা ঘোরার অভিজ্ঞতা বলছেন। সেই বর্ণনার সাবলীলতা গৌরকিশোর ঘোষ এর রিপোর্টিং এর কথা মনে করিয়ে দেয়। 


 আর এটা নিছক তত্ত্বর কচকচি নয়, যদিও শ্যামাপ্রসাদ দুর্ভিক্ষ এর কারণ গুলো ব্যাখ্যা করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। লেখক বইটাতে  ১৯৪৩ এর দুর্ভিক্ষ এর সাথে বাংলার অন্য দুর্ভিক্ষ এর আলোচনা করে বারে বারে দেখিয়েছেন কি কি ব্যার্থতা বাংলা কে এই রকম ভয়াবহ অবস্থার দিকে নিয়ে গিয়েছিলো। আমার হাতের বইটি হলো ৩য় সংস্করণ, আগের দুটি সংস্করণ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়েছিল। প্রথম সংস্করণ তো শেষ হয়েছিল মাত্র ৩ সপ্তাহে। বই বিক্রি এর পয়সা দিয়ে রাজ্ বন্দিদের পরীক্ষার ফী জমা দেওয়া হয়েছিল।



এই বার বই এর কথা তে আসা যাক। ভূমিকা ইত্যাদির পরে বই টার শুরু হচ্ছে কিছু ছবি দিয়ে। প্রথম ছবি তে এক মহিলা এক বাচ্চা কে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে, বুকের উপরে কাপড় নেই।  যৎসামান্য কাপড়ে পরণের নিম্নাঙ্গ আবৃত। বোধ হয় প্রতি টা হাড় গোনা যাবে।  ছবির তলাতে লেখক লিখেছেন

"ঘর গৃহস্থালী লজ্জা-সঙ্কোচ সমস্ত গিয়াছে, চাষী-মাতা কলিকাতার পথে আসিয়া দাঁড়াইয়াছেন। শুষ্ক বুকে একফোটা দুধ নাই, সন্তানকে বাঁচাবে কে ? " ব্যাক্তি লজ্জা কে জাতির লজ্জা তে পরিণত করতে লেখক শুধু মাত্র দুটি বাক্য নিয়েছেন !! 


সেই ছবি স্ক্যান এ একদমই ভালো আসে নি বলে দিতে পারলাম না , তবে লাইফ ম্যাগাজিনে সেই সময় এর বেশ কিছু ছবি বেরিয়েছিল। ইন্টারনেট খুঁজলে সেই ছবি পাওয়া একদমই মুশকিল না।




তবে শ্যামাপ্রসাদ এর বই এর গুরুত্ব হলো বাংলার পাঠক দের হাতে নিজেদের ভাষা তে এই সময় টা শুধু লেখা তে নয়, ছবি তেও তুলে ধরা।  মনে রাখতে হবে সেই যুগের কাগজে ও কিনত্যু দুর্ভিক্ষ এর ছবি বেরোতো না। এর পরে মূল লেখা শুরু হচ্ছে বঙ্কিম এর আনন্দমঠ এর দুর্ভিক্ষ এর বর্ণনা দিয়ে। 

শুরুতেই লেখক আলোচনা করলেন দুর্ভিক্ষ এর কারণ এর প্রচলিত ব্যাখ্যা গুলো নিয়ে। প্রায় ৩০ পাতার এই আলোচনা বিস্তারিত করলাম না কারণ সেটা বই এর লেখার পুনরাবৃত্তি হয়ে যাবে। 
আমি বরং একটা চেষ্টা করি শ্যামাপ্রসাদ আর অমর্ত্য কে মিলিয়ে দেওয়ার। শ্যামাপ্রসাদ বলছেন মূল্য বৃদ্ধি ই দুর্ভিক্ষ এর প্রধান কারণ। বাকি গুলো উনি বিস্তারিত আলোচনা করলেও মূল্য বৃদ্ধি এর ওপরে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন এই মূল্য বৃদ্ধির এর ওপরে।  এবার অমর্ত্য এর লেখা এর একটা চার্ট তুলে ধরি। 


এই ওপরের চার্ট দেখলে বোঝা যায় কেন চালের জন্য সেই দিন হাহাকার পরে গিয়েছিলো। চালের দাম বাড়লো ৫ গুন শুধু এক বছরে!! ভাবতে পারেন আজকের দিনে যদি মাসে মাসে এই ভাবে চাল এর দাম বাড়ে !!!

এই মূল্য বৃদ্ধির কারণ নিয়ে অমর্ত্য সেন অনেক আলোচনা করেছেন।  কেন এতো দাম বাড়লো আর কার দায় তার জন্য সেই নিয়ে শ্যামাপ্রসাদ বিস্তারিত আলোচনা করলেন।


শ্যামাপ্রসাদের একটা বক্তব্য রেখেছেন এখানে খুব প্রাসঙ্গিক। যুদ্ধের ওই সময় সরকারই সব থেকে বড় মজুতদার (যুদ্ধের প্রয়োজনে) আর সরকার ই আবার সব থেকে বড় চাল আর গমের সব থেকে বড় ক্রেতা। এই পরিস্থিতি এর দায়িত্ব তাই ব্রিটিশ সরকার আর সুরাবর্দি এর ওপরেই এসে পরে।


বই এর শেষ দিকটা য় লেখক আলোচনা করলেন কি কি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায় বাংলার খাদ্য পরিস্থিতির তাৎক্ষণিক উন্নতির জন্য।


আজকে হোয়াটস্যাপ, ফেইসবুক এর যুগে আমরা ভাবতেই পারি এমন পরিস্থিতি আর আসবে না। সত্যি কি তাই !! আমার তো মনে হয় ওই ১৯৪৩ এর মতো পরিস্থিতি আবারো আমাদের ফিরে আসতেই পারে !! ১৯৪৩ এর পরেও স্বাধীন ভারত এ খাদ্য আন্দোলন হয়েছে।  শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধীর সরকার এর যাই যাই রব উঠেছিল খাদ্যভাব এর জন্য। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম যুক্তফ্রন্ট সরকার এতো তাড়াতাড়ি হয়তো পড়তো না যদি গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে খাদ্যাভাব প্রকট না হতো।  স্বাধীন বাংলাদেশ এ ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষ মুজিব সরকার এর ওপর এর সব চাকচিক্য তুলে দিয়েছিলো। দেশ এর অবিসংবাদী নায়ক এর ভিলেন হতে বেশি সময় লাগে নি। ডেমোক্রেসি তে দুর্ভিক্ষ হবে না বলে অমর্ত্য আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। ডেমোক্রেসি এর সংজ্ঞা হয়তো দেশে দেশে এক দম এক নয়। ১৯৪৩ এর বাংলা তে সুরাবর্দি এর সরকার একটা নির্বাচিত সরকার ছিল। হয়তো সুরাবর্দির সরকার অমর্ত্য এর সংজ্ঞা মতে গণতান্ত্রিক সরকার ছিল না কারণ অনেক কিছুই তখনো চলতো লন্ডন সরকার এর হুকুম মেনে। আজকের দিনেও ভারত এর বহু মানুষ এর দিন চলে অর্ধাহারে বা একদমই কুখাদ্য খেয়ে। আজকের কাগজ এ কি আমরা তার উল্লেখ দেখি ? পরিস্থিতি বুঝতে গেলে যেতে হবে আমাদের একটু গ্রাম এর দিকে, যেতে হবে শহর এর এমন সব দিকে যেখানে আমরা যাই না বা যেতে চাই না। ১৯৪৩ ও ঠিক তেমন টাই ছিল। সেদিন ১৫ই মে ১৯৪৩। কোলকাতার রাস্তা তে অনাহারী মানুষ এর দল। অমৃত বাজার এর পাতা তে (তাও ভিতরের পাতা তে ) এক নাম মাত্র উল্লেখ। 



২০১৭ এর সালের ২য় দিন, ২রা জানুয়ারী তে বসে এই লেখা লিখছি। নতুন বছরের নতুন আশা। আশা যে আগের ভুল হবে না। সেই ভুল না হলেই ভালো। শ্যামাপ্রসাদ এর ভুলে যাওয়া বই কেও আর একবার নতুন করে মনে করলাম। এই বই হয়তো সেই ভুলের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করবে।